হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫) তারিখে হযরত ওয়ালি আসর (আ.জ) গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত ২০তম “ধর্মীয় প্রশ্নোত্তর কেন্দ্রগুলোর সম্মেলনে” তিনি বলেন: এই ধরনের বৈঠকগুলো গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে, যার গুরুত্ব সবার কাছেই পরিষ্কার।
হযরত ওয়ালি আসর (আ.জ) আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে ৩,৫০০টি বিশেষায়িত অনুষ্ঠান তৈরি
সন্দেহের বৃষ্টি
কুমের হাওজার এই অধ্যাপক বলেন, আজ বিভিন্ন গোষ্ঠী ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা ধরনের সন্দেহ উত্থাপন করছে। বর্তমানে আমরা সর্বদিক থেকে “সন্দেহের বৃষ্টির” মুখোমুখি-তা হোক শত্রু ও ওহাবি গোষ্ঠী থেকে, কিছু চরমপন্থী সুন্নি গোষ্ঠী থেকে, কিংবা এমনকি আমাদের নিজেদের মধ্যকার ভুলপথগামীদের থেকেও। সবাই কোনো না কোনোভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
ভার্চুয়াল জগৎ যুবসমাজের হত্যাক্ষেত্র
হযরত ওয়ালি আসর (আ.জ) গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, সর্বোচ্চ নেতার ভাষায় আজকের ভার্চুয়াল স্পেস যুবসমাজের জন্য হত্যাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই গভীর মন্তব্য আমাদের দায়িত্ব পরিষ্কার করে দেয়-আমাদেরকে দৃঢ়ভাবে, গতিশীলভাবে এবং আপডেট থেকে ধর্মীয় প্রশ্ন ও সন্দেহের উত্তর দিতে হবে।
চিন্তার ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক উপস্থিতি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে থাকা চলবে না
তিনি জোর দিয়ে বলেন: আমরা কেবল প্রতিরক্ষার অবস্থানে থাকলে চলবে না, বরং আমাদের শত্রুর চিন্তার ময়দানে প্রবেশ করতে হবে। তাদের বিভ্রান্তিকর ধারণাগুলোকে তাদের নিজস্ব যুক্তি ও চিন্তার ভিত্তিতেই চ্যালেঞ্জ করতে হবে। যুক্তি ও বুদ্ধির সাহায্যে তাদের চিন্তাকে পরাজিত করাই এখন আমাদের ধর্মীয় ও চিন্তাশীল দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন: যত বেশি ধর্মীয় প্রশ্নোত্তর কেন্দ্রগুলো গতিশীল হবে এবং আধুনিক জ্ঞান দিয়ে সজ্জিত হবে, তত বেশি তারা তরুণ প্রজন্মের দিকনির্দেশনা দিতে এবং ইসলামী বিশ্বাসকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।
ধর্মীয় সন্দেহ মোকাবিলায় হাওজার শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ভূমিকা
তিনি বলেন: হাওজার পারফরম্যান্স এই ক্ষেত্রে মোটামুটি সন্তোষজনক হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত স্তরে পৌঁছায়নি। যদি আমরা উৎসাহী ও মেধাবী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি, তাহলে ফলাফল আরও উন্নত হবে।
মেধাবীদের শনাক্তকরণ ও সহায়তার প্রয়োজনীয়তা
কুমের এই অধ্যাপক বলেন: মেধাবী, চিন্তাশীল ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে সহায়তা করা জরুরি। এই তরুণ প্রজন্মের ওপর বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষামূলক বিনিয়োগ করতে হবে, যেন তারা ভবিষ্যতে ধর্মীয় প্রশ্নোত্তর ও সমাজের চিন্তাগত নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে পারে।
শেষে হোসেইনি কাজভিনি বলেন: তরুণ মেধাবীরা প্রবীণ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠতে হবে, কারণ ভবিষ্যতে তারাই ধর্ম প্রচার ও প্রশ্নোত্তরের ময়দানে নেতৃত্ব দেবে। তাই হাওজাগুলোকে “মেধা অনুসন্ধান ও মেধা বিকাশ”-কে তাদের প্রধান অগ্রাধিকার ও দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
আপনার কমেন্ট